শিশু পার্ক | ঢাকা

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে অবস্থিত শাহবাগ শিশু পার্কটি শহীদ জিয়া শিশুপার্ক( Shaheed zia shishu park dhaka ) বা ঢাকা শিশুপার্ক হিসেবেও পরিচিত। ১৯৭৯ সালে ‘শহীদ জিয়া শিশুপার্ক’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য পাবলিক সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম এই শিশুপার্কটি ১৯৮৩ সাল থেকে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে ১৫ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠা এ পার্ক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। শিশু পার্কটিতে ১২ টি রাইড রয়েছে। যেখানে একটি খেলনা ট্রেন, একটি গোলাকার মেরি গো রাউন্ড রাইড ও একাধিক হুইল রাইড রয়েছে। ১৯৯২ সালে এ পার্কে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সৌজন্য হিসেবে একটি জেট বিমান দেয়া হয়।

প্রতি রাইড ৮ টাকা হারে ৬টি রাইড ব্যবহার করতে দেয়া হয়। প্রতি শুক্রবার পার্কটি ২.৩০-৭.৩০ টা পর্যন্ত চালু থাকে। রবিবার ছাড়া শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার ২.০০- ৭.০০ টা পর্যন্ত রাইডগুলো চালু থাকে। ঢাকার এই শিশুপার্কে প্রতিদিন ছয় হাজারের অধিক মানুষ এসে থাকে। আর ইদুল ফিতর ও ইদুল আজহার মত আনন্দঘন সময়ে তা কয়েকগুন বেড়ে যায়।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তর পাশঘেঁষে এই পার্কটির অবস্থান। শাহবাগ মোড় থেকে পূর্বদিকে ২ মিনিট হাঁটলেই পার্কটির প্রবেশ গেট পেয়ে যাবেন।

খোলা বন্ধের সময়সূচীঃ
অক্টোবর থেকে মার্চঃ সোম থেকে বৃহস্পতি ও শনিবার দুপুর ১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এবং প্রতি শুক্রবার বেলা ২.৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত সাধারনের জন্য পার্কটি খোলা থাকে। রবিবার এবং বুধবার সাধারনের জন্য পার্কটি বন্ধ থাকলেও বুধবার দুপুর ১.৩০ মিনিট হতে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র শিশুদের জন্য পার্কটি খোলা থাকে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরঃ সোম থেকে বৃহস্পতি ও শনিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং প্রতি শুক্রবার বেলা ২.৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত সাধারনের জন্য পার্কটি খোলা থাকে। রবিবার এবং বুধবার সাধারনের জন্য পার্কটি বন্ধ থাকলেও বুধবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র শিশুদের জন্য পার্কটি খোলা থাকে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *