Voirob Rail Bridge

ভৈরব রেলওয়ে সেতু | ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

ভৈরব রেল সেতুর( Voirob Rail Bridge ) দৈর্ঘ্য ৯১৬ মিটার ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ দীর্ঘ প্রায় ১২৫ কি.মি. রেল লাইন ভৈরব বন্দরের সাথে দেশের অন্যান্য স্থানের রেলযোগাযোগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে মেঘনা নদীর উপর ‍“রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ সেতু” (যা এখন শহীদ আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু নামে পরিচিতি) স্থাপন করা হয় এবং এটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৬৪ লক্ষ ভারতীয় মুদ্রা। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে এই পুলের উপর দিয়ে প্রথম মালগাড়ী চলাচল শুরু করে ১৯৩৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর ।

প্রথম মাল বাহি ট্রেন নিয়ে সাহসিকতার সহিত রেল সেতু পার হউন তৎকালীন সময়ের বাঙালি রেল গাড়ী চালক নওয়াজ অালী। এই রেলসেতুটি উদ্ধোধন করেন বাংলার তথনকার প্রধানমন্ত্রী শের-এ-বাংলা এ,কে ফজলুল হক, যিনি বাংলার বাঘ হিসেবে খ্যাত। ঐ বছরই ৬ডিসেম্বর থেকে সেতুটির উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঠিক তথন থেকেই স্থাপন হয় ভৈরব বাজার জংশন। যোগাযোগ ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে নদীপথ, রেলপথ এবং রেলস্টেশন স্থাপন হওয়ার পর ভৈরবের ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে ভৈরব বাজার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকাটি একটি সমৃদ্ধ ব্যবসা-বানিজ্য স্থান হিসেবে সুনাম অর্জন করে এবং একটি ব্যবসা-বানিজ্য বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম যেতে এখন ৩৪৬ কিলোমিটার পথ পারি দিতে হয় ট্রেনকে। কোথাও না থামলেও এই পথ পারি দিতে সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টারও বেশি লাগে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *