সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
( kumira ghat )সৃষ্টিকর্তা যেন নিজ হাতেসীতাকুণ্ডকে প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্রে চমৎকার ভাবে সাজিয়েছেন। সীতাকু্ণ্ডেরপূর্বে সারি সারি পাহাড় আর পশ্চিমে সুবিশাল সমুদ্র, এ যেন প্রকৃতির অপরূপমিলন। এই উপকূলীয় এলাকা সীতাকুণ্ডকে সকলের কাছে অপরূপ সৌর্ন্দয্যেরলীলাভূমি হিসাবে পরিচিত করে তুলেছে। সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী, ফৌজদারহাট, কুমিরা, বাঁশবাড়ীয়া, বারবাকুণ্ড, গুলিয়াখালি, সৈয়দপুর সহআরও অন্যান্য এলাকা জুড়ে রয়েছে উপকূলী এলাকা। এই উপকূলীয় এলাকার বিশালঅংশ উপকূলীয় বাঁধ দিয়ে সংরক্ষিত এবং এ বাঁধের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছেম্যাগ্রোভ বন, এই এলাকার বেশকিছু অংশ সমুদ্র সৈকতের মত। এখানে বিভিন্নধরনের গাছপালা, পশু-পাখি দেখা যায়। এ এলাকার মানুষ সমুদ্রে মাছ আহরন করেএবং পাহাড় থেকে বিভিন্ন ধরনের ফল সংগ্রহ, মধু সংগ্রহ ও কৃষিকাজ করে, মাছ, ফল, ফসল, মধু স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা র্নিবাহ করে। এই উপকূলীয়এলাকার বিভিন্ন অংশ থেকে লঞ্চ, স্পিড বোট, মাছ ধরার ট্রলারে চড়ে সন্দীপ, হাতিয়া সহ বিভিন্ন দ্বীপ অঞ্চলে যাওয়া যায়।
সীতাকুন্ড সমুদ্রসৈকতটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহূত হয়ে আসছে। এর তীরে ১৫২ টি জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প অবস্থিত। সীতাকুন্ড থেকে সন্দ্বীপগামী ৪টি ফেরিঘাট এখানে রয়েছে। আপনি বিভিন্ন পথ ধরে এই উপকূলীয় এলাকা ভ্রমন করত পারবেন।
নির্দিষ্ট কোনউপকূলীয় এলাকা ভ্রমন করতে হলে আপনি সে উপকূলীয় গ্রামের পথ ধরে আপনারগন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। আপনি এখানে ভ্রমন করার মাধ্যমে এ এলাকার মানুষেরজীবন -জীবিকা সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন, উপভোগ করতে পারবেন প্রাকৃতিকসৌন্র্দয্য, ম্যানগ্রোভ বন এবং জেলেদের জীবন-জীবিকা।আপনি এখান থেকে জেলেদেরমাছ ধরারর দৃশ্য এবং সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্যও উপভোগ করতে পারবেন।
কিভাবে যাবেনঃ
শহর থেকে পতেঙ্গা সৈকত যাবেন :- শহর থেকে অর্থাত জিইসি , আগ্রাবাদ খেকে আপনি চাইলে বাসে যেতে পারেন। লোকল বাস সবসময় পাওয়া যায়। ১০ নং সহ অনেক বাস এই রুটে চলে। মাঝে মাঝে বাস সৈকত পর্যন্ত না যেয়ে কাঠগড় পর্যন্ত যায়। কাঠগড় থেকে ৩-৪ মিনিটে আপনি অন্য বাসে বিচে যেতে পারেন। জিইসি , আগ্যাবাদ দিয়ে বিআরটিসির লাল বাস গুলাও চলে। ভাড়া একই ১৫-২০টাকা জনপ্রতি। এছাড়া আপনি সিএনজি রিজার্ভ করে যেতে পারেন। ভাড়া দরাদরি করলে ১৮০-২৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। কর্ণেল হাট বা হালি শহর রুটে ১১ নং বাস সি-বিচ পর্যন্ত যায়। ভাড়া একই।