বায়তুল মোকাররম | ঢাকা

0
253

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

বায়তুল মোকাররম( baitul mokarram dhaka ) জাতীয় মসজিদ (আরবি: بيت المكرَّم الوطني مسجد‎‎) বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। মসজিদটি রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত। ১৯৬৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। তৎকালীন পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে এই মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়। মসজিদে একসাথে ৩০,০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে, ফলে ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম মসজিদ। তবে মসজিদটিতে জুমার নামাজ ছাড়াও বিশেষত রমজানের সময় অত্যাধিক মুসল্লির সমাগম হয় বিধায়, বাংলাদেশ সরকার মসজিদের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজারে উন্নিত করে।

প্রধান ভবনটিতে সাদা রং-এর ব্যবহার ও প্রায় ‘কিউবিক’ আকৃতির অবকাঠামোসহ সমগ্র নকশাটিতে নির্মাণ সময়ের স্থাপত্যিক প্রভাব প্রতিফলিত হয়। মসজিদটির প্রধান কক্ষের ছাদের উপর গম্বুজের অনুপস্থিতি মসজিদ স্থাপত্যের একটি বিরল বৈশিষ্ট্য। প্রধান ভবনটি আট তলা এবং মাটি থেকে ৩০.১৮ মি উঁচু। মূল নকশা অনুযায়ী মসজিদের প্রধান প্রবেশপথ পূর্ব দিকে হওয়ার কথা। পূর্বের সাহানটি ২৬৯৪.১৯ বর্গ মিটার এবং এর দক্ষিণ ও উত্তর পার্শ্বে উযুর জন্য জায়গা রয়েছে। প্রধান ভবনের উপর গম্বুজের অনুপস্থিতির অভাব ঘোচানো হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিকের প্রবেশ বারান্দার (portico) উপর দুটি ছোট গম্বুজ নির্মাণের মাধ্যমে।

এই প্রবেশ বারান্দাগুলিতে আবার তিনটি অশ্বখুরাকৃতি খিলানপথ রয়েছে, যার মাঝেরটি পার্শ্ববর্তী দুটি অপেক্ষা বড়। দুটি উন্মুক্ত অঙ্গন (patios) প্রধান নামাজ কক্ষে আলো ও বাতাসের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তিন দিকে বারান্দা দ্বারা ঘেরা প্রধান নামাজ কক্ষটির আয়তন ২৪৬৩.৫১ বর্গ মিটার এবং মধ্যবর্তী তলা (mezzanine) হলো ১৭০.৯৪ বর্গ মিটার। প্রধান নামাজ কক্ষের মিহরাবটি আয়তাকার। অলংকরণের আধিক্যকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে এ কারণে যে, আধুনিক স্থাপত্যে কম অলংকরণই একটি বৈশিষ্ট্য। টি আব্দুল হুসেন থারিয়ানির মূল নকশায় মসজিদের মিনারটি ছিল ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে আলাদা একটি কাঠামো। তবে বর্তমানের নতুন প্ল্যান অনুযায়ী দুটি নতুন মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।

বায়তুল মুকাররম মসজিদটি স্থাপত্যিক রীতিতে আধুনিক। তবে এটি প্রচলিত মসজিদ স্থাপত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্যকে এড়িয়ে যায়নি। এর অবয়ব মক্কার কাবা শরীফের মতো হওয়ার কারণে মুসলমানদের হূদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।