ফাতরার চর | কুয়াকাটা

0
325

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র( fatrar char kuakata )। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা “সাগর কন্যা” হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। এখানকার গাছপালা কিছুটা হলুদ বর্ণের, আর বনের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলার পথটা অসম্ভব সুন্দর, বন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একসময়য় সাগরের দিকে বের হওয়া যায়, সেখানে একটা চুলা আছে যেখানে রাতে ক্যাম্পিং করে বারবিকিউ করা যায়।

কিভাবে যাবেনঃ

পটুয়াখালি হয়ে কুয়াকাটাঢাকার সদরঘাট থেকে বিকাল ৫.৩০ থেকে ৬.৩০ টার মধ্যে এমভি কাজল-৭, এমভি প্রিন্স আওলাদ-৭, এমভি সুন্দরবন-৯ ও ১১, এমভি জামাল-৫, এমভি এ আর খান-১, এমভি সাত্তার খান-১, এমভি কুয়াকাটা-১, এমভি মাহিন রিফাত-১ লঞ্চগুলো পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দৈনিক ৩টি লঞ্চ পটুয়াখলীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং এই লাইনের লঞ্চগুলো বেশ নতুন আর মুজবুত। সেগুলো পটুয়াখালী পৌছায় সকাল ৭ টার দিকে। লঞ্চ ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা করে (ডেক), আর কেবিনে গেলে ৯০০ টাকা সিঙ্গেল, ১৮০০ -২০০০ টাকা ডাবল, ২৫০০ – ৩০০০ টাকা ফ্যামিলি। ভিআইপি কেবিন লঞ্চভেদে ৩০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে হয়। কিছু লোকাল লঞ্চ যেমন মাহিন রিফাত-১, প্রিন্স অব রাসেল-৪, সৈকত-১৫ তে ডেক ভাড়া ১৫০ টাকা। তবে এগুলা ঘাট বেশী দেয় এবং সময়ও কিছুটা বেশী লাগে। তবে লঞ্চ যাত্রা উপভোগ করতে চাইলে এগুলোতেও যেতে পারেন।

লঞ্চ দিয়ে সকালে পটুয়াখালী নেমে একটা রিক্সা নিয়ে (ভাড়া ১৫ টাকা) বাস স্ট্যান্ডে চলে আসতে হবে। সেখানে খাওয়া দাওয়ার দোকান নাই। তবে সকালের নাস্তা খেতে হলে আপনাকে একটু পিছিয়ে চৌরাস্তার মোড়ে যেতে হবে, সেখানে ভালো কিছু পরটার দোকান পাবেন । এখান থেকে (চৌরাস্তা) মোটর সাইকেল পাওয়া যায়, এক মোটর সাইকেলে ২ জন জাত্রী বসা যাবে, সরাসরি কুয়াকাটা পর্যন্ত ভাড়া নিবে ৬০০-৮০০ টাকা (দরদাম করতে হবে)। সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘন্টা। এছাড়া বাসে করেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আবার বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে, কুয়াকাটার বাসের টিকিট কাটতে হবে, ভাড়া নিবে ১৩০ টাকা। পটুয়াখালি থেকে কলাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা অসাধারণ, রীতিমতন বিমান নামতে পারবে এমন, রানওয়ের মতন চকচকে। আগে তিনটা ফেরী পার করতে হত কিন্তু এখন ৩টা নতুন ব্রিজ হওয়াতে পুরো ঝকঝকে রাস্তা। মনে রাখবেন সন্ধ্যা ৫টার পর আর কোনো বাস পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা যায় না।

কি খাবেনঃ
আবাসিক হোটেলগুলিতে অতিথিদের জন্য নিজস্ব রেস্তোরাঁয় খাবার ব্যবস্থা আছে। লেবুর চরের কাঁকড়া ভুনা বেশ বিখ্যাত। বীচ এলাকায় রয়েছে মাছের নানা দোকান, যেখানে আছে টাটকা মাছ ভেঁজে খাওয়ার সুযোগ। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছ ও মাছের শুকটি পাওয়া যায়।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।