সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
১৮৮৭-১৮৮৭-তে ইংরেজরা তাদের সৈন্য ও রসদ চলাচলের জন্য লালমনিরহাট থেকে ভুরুঙ্গামারী হয়ে ভারতের মনিপুর রাজ্যে যাবার জন্য গোয়াহাটি পর্যন- যে রেল লাইন স’াপন করে তারই অংশ হিসাবে সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজ( Bongo Sonahat Bridge ) তৈরী করা হয়। ব্রিজটি প্রায় ১২০০ ফুট লম্বা। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এই ব্রিজের একটি অংশ ভেঙ্গেদেয়।
পরবর্তীকালে তা প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকারের আমলে কুড়িগ্রাম জেলার সাবেক গভর্নর কুড়িগ্রাম-১ আসনের তৎকালীন এম,সি, ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ,মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ভুরুঙ্গামারীতে ১ম উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল হক চৌধুরীর প্রানের দাবী সোনাহাট ব্রীজ পুনঃ সংস্কারের আবেদন কয়েক বার জাতীয় সংসদে পেশ হলে কচাকাটার কৃতি সন্তান জাতীয় পার্টির সাংসদ মরহুম আ,খ,ম, শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সময়ে তা আবারও মেরামত করা হয়।এই ব্রিজটি দুধকুমর নদীর উপর র্নিমিত। বর্তমানে এটি সাধারন ব্রিজের মতোই ব্যবহৃত হচ্ছে।
সারাদিন ব্রীজ সহ আশেপাশের বৃটিশ আমলে দুধকুমর নদের ব্রীজ রক্ষায় ভারী পাথরের সমারোহ দেখে আপনার দু চোখ জুড়িয়ে যাবে। শীত মৌসুমে বাংলাদেশের অনেক ভ্রমন পিপাসু লোকজন এখানে পিকনিক করতে আসে। ব্রীজের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে পাটেশ্বরী বাজারটিও বৃটিশ আমলে খুব জাকজমক পুর্ন ছিল। এখানে রেলওয়ে ষ্টেশন সহ কর্মচারীদের আবাসিক দালান কোঠা ইতিহাসের স্বাক্ষী হলে থাকা অবস্থায় বিগত বি,এন,পি,সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর নেতা কর্মীরা রেলওয়ের নিকট হতে নিলামে নিয়ে দালান কোঠা গুলো ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। পাটেশ্বরী বাজারের কয়েক কিলোমিটার দুরেই রয়েছে ১৬৬০ সালে মীরজুমলা কর্তৃক নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদ। আপনি সোনাহাট ব্রীজ দেখতে আসলে কখনই এ নিদর্শন গুলো দেখতে ভুলবেন না।
কিভাবে যাবেনঃ
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে 5/6 কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নে সোনাহাট ব্রীজটি অবস্থিত।