পানি জাদুঘর | পটুয়াখালী

0
325
Water Museum

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

পানি জাদুঘর( Water Museum )বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত যা ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে একশন এইড নামের একটি এনজিও স্থাপন করে। বাংলাদেশের মানুষের নদী-কেন্দ্রিক জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার এবং কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে একটি দ্বিতল ভবনে পানি জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাস-এর সহযোগিতায় কলাপাড়া উপকূলীয় জনকল্যাণ সমিতি পরিচালনা করছে এই জাদুঘরটি।

২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও আভাসের উদ্যোগে কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার কুয়কাটা-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বিশ্বের অষ্টম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘরটির উদ্বোধন করা হয়।

পানি জাদুঘরে প্রবেশ পথের সম্মুখেই রয়েছে নদীতে বাঁধ তৈরির ফলে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তনের দৃশ্য। বাঁধ তৈরির ফলে শুকিয়ে গেছে নদী। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য নৌকা শুকিয়ে যাওয়া নদীতে পড়ে আছে। অর্ধ বালুতে ডুবন্ত নৌকার বুকে বিধে আছে দুটি গজাল লোহা। এর মাধ্যমে নদী ও নদীমাতৃক বাংলাদেশকে খুনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

এই জাদুঘরে রয়েছে বাংলাদেশের ৭০০টি নদীর ইতিহাস, বিভিন্ন নদীর পানি, নদীর ছবি, নদীর পানির ইতিহাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশে ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চিত্রসহ বিভিন্ন তথ্য। রয়েছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ, নদী নিয়ে গান ও পল্লী শিল্প। রয়েছে কাঁসা ও মাটির তৈরি তৈজসপত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫৭টি আর্ন্তজাতিক অভিন্ন নদীর ইতিহাস রয়েছে এখানে।

যা যা দেখবেনঃ

জাদুঘরটির সামনে ইটের তৈরি দেয়ালের মাঝে রয়েছে একটি শেকলবদ্ধ নৌকা, যা বাঁধ তৈরির ফলে খুন হয়ে যাওয়া নদীর প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতীকটি শুকিয়ে যাওয়া নদী ও পানি সংকটের ভয়াবহতা তুলে ধরছে জনসাধারণের মাঝে। এখানে রয়েছে স্বচ্ছ কাচের পাত্রে সংরক্ষিত প্রায় ৫৭টি নদীর পানির নমুনা ও প্রায় ৭০০টি নদীর ইতিহাসসমৃদ্ধ বই-পুস্তক। জাদুঘরটির মেঝেতে সাজানো রয়েছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় উপকরণ, মাটির ও কাসার তৈরি প্রাচীনসব তৈজসপত্র। এ ছাড়া ব্যতিক্রমধর্মী জাদুঘরটিতে রয়েছে স্থানীয় নদীগুলোর তথ্যসমৃদ্ধ কয়েকটি মানচিত্র। ছোট্ট একটি ঘরে নান্দনিক সব উপকরণ দিয়ে সাজানো-গোছানো জাদুঘরটি মুগ্ধ করবে যে কাউকে।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে সরাসরি কলাপাড়ার পাশের উপজেলা আমতলীতে চলে আসতে হবে। আমতলী থেকে প্রতি ঘণ্টায় বাস কিংবা প্রতি মুহূর্তে চলাচলরত মোটরসাইকেলযোগে কলাপাড়ার পানি জাদুঘরে যেতে পারবেন। বিকল্প পথে ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বরিশাল এসে সেখান থেকে বাস কিংবা মাইক্রোবাসযোগে সরাসরি পানি জাদুঘরে যাওয়া যাবে। বাসযোগে ঢাকা থেকে সরাসরি গাবতলী, সায়দাবাদ থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহন, ঈগলসহ অন্যান্য পরিবহন যোগে সরাসরি কলাপাড়ার পাখিমারার পানি জাদুঘরে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেনঃ

কলাপাড়াতে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো হোটেল রয়েছে • হোটেল বনানী প্যালেস- ০১৭১৩-৬৭৪১৮৯ • হোটেল কুয়াকাটা ইন- ০১৭৫০০০৮১৭৭ • হোটেল নীলাঞ্জনা- ০১৭১২৯২৭৯০৪৪ • কুয়াকাটা গেস্ট হাউজ- ০১৭৩০১৮৯১৫২

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।