সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
রাঙামাটি সদর থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরে জুরাছড়ির( jurachori rangamati ) অবস্থান। জুরাছড়ি নামের ঝর্ণা থেকে এই উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে। এই এলাকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হলো নৌপথ। প্রায় ২৭ হাজার লোকের বসতি এই জুরাছড়ি উপজেলায়। এদের অধিকাংশই চাকমা সম্প্রদায়ের। এ ছাড়া রয়েছে মুসলমান, হিন্দু, রাখাইন, মারমা, তংচ্যাংগা, প্যাংকো, ত্রিপুরা, কিয়াং, মরুং ও বোম সম্প্রদায়ের বসবাস। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি জুরাছড়ির সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ।
পাহাড় কন্যা জুরাছড়ি সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে আছে কাপ্তাই হ্রদের কোলজুড়ে। পুরো জুড়াছড়ির অকৃত্রিম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে মায়াময় এক প্রকৃতির ঘোরে। এখানে প্রকৃতি নিজেকে মেলে ধরে এক ভিন্ন আমেজে। নান্দনিকতা আর নীল-সবুজের মাখামাখিতে পাহাড়ি সৌন্দর্যের অবাক করা মেলবন্ধন জুড়াছড়ির পরতে পরতে। জুরাছড়ির এক পাশে দূর পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃক্ষরাজি। অন্যপাশে কাপ্তাই হ্রদের নীরব জলে ঝিরি ঝিরি বাতাসের মিতালী আপনার সৌন্দর্য বোধকে করে তুলবে আরো তীক্ষ্ণ। কোথায় যেন হারিয়ে যেতে চাইবে মন।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটিতে বাস যোগে যাওয়া যায়। রাঙ্গামাটি শহর থেকে জুরাছড়ি যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার ইত্যাদি এলাকা থেকে লঞ্চ বা ইঞ্জিন চালিত বোট যোগে জুরাছড়ি যাওয়া যায়।
যা যা দেখবোঃ
১। কাপ্তাই হ্রদ।
২। বানাতাইংগাচুগ পাহাড়।
৩। জুরাছড়ি রাজবন বিহার।
৪। সুবলং শাখা বন বিহার।