সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের জন্য বিখ্যাত কুয়াকাটা। ভোরের ঊষা এবং অপরাহ্ণের লগ্নের সবচেয়ে মনোহরিনি দৃশ্যটি দেখতে যেতে হবে কুয়াকাটা( labur char patuakhali )। কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিস্তর এক আঁধার। সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে নির্জন চর, বিস্তৃত বন, নদী সব মিলিয়ে এখানকার পরিবেশ দারুণ। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্বলিত একটি জায়গা লেবুর চর। কুয়াকাটার পূর্বে অবস্থিত লেবুর চর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
লেবুর চরের মোট আয়তন ১০০০ একর। স্থানীয়ভাবে এটি নেম্বুর চর নামেও পরিচিত। নিরিবিলি শান্ত নির্জন পরিবেশ। শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য আর নির্জনতাই চোখে পড়বে এই চরে। মানুষের কোলাহল থেকে দূরে এমন একটি চরে ঘুরে বেড়ানো অনেকেরই আকাঙ্ক্ষিত। এটি এক সময় সুন্দরবনের সাথে যুক্ত থাকলেও এখন আলাদা হয়ে পড়ছে। এই চরে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যেমন- কেওড়া, গেওয়া, গোরান, কড়ই, গোলপাতা সহ আরো অনেক। চরের শেষ মাথায় দাঁড়ালে সুন্দরবনের ঘন সবুজ গাছগাছালির দেখা পাওয়া যায়। পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের সোনালি আভা যখন চরের বুকে আঁচড়ে পড়ে সেই দৃশ্য অপার্থিব।এছাড়া লেবুর চরে প্রকৃতিকে উপভোগের পাশাপাশি খেতে পারবেন নানা রকম তাজা সামুদ্রিক মাছ। দরদাম করে নিলে ওখানে ভাজি করে দেবে। খেতে পারবেন কাঁকড়াও। এছাড়া খেতে পারেন স্থানীয় ডাব। এখানকার ডাবের পানি অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
কিভাবে যাবোঃ
ঢাকা থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী। সদরঘাট থেকে সন্ধ্যায় লঞ্চ আছে। ডেকে গেলে ২৫০ করে জনপ্রতি।আর কেবিন নিলে ভিন্ন কথা। পটুয়াখালী নেমে বাসে করে কুয়াকাটা। ভাড়া জন প্রতি ১৪০। চাইলে ঢাকা থেকে বাসেও যেতে পারেন।সায়েদাবাদ থেকে সাকুরা পরিবহনে মাওয়া হয়ে ৫৫০ টাকা ভাড়া। আর গাবতলী থেকে আরিচা হয়েও সাকুরা আছে। ভাড়া ৬৫০টাকা। কুয়াকাটা নেমে হোটেল বুক করে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়বেন লেবুরচরের উদ্দেশ্যে, ব্যাটারি চালিত ভ্যান আছে। ৬০০টাকা নিবে। এছাড়াও মোটর সাইকেলে করে যেতে পারবেন। বিকেল টা আশেপাশে ঘুরে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখে ফিরে আসবেন।ভ্যানওয়ালার সাথে বলে নিবেন যে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবেন।