Sonar Char

সোনারচর | পটুয়াখালী

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

দেশের পটুয়াখালীতেই রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন ও নয়ানাভিরাম সমুদ্র সৈকত। সোনারচর সমুদ্র সৈকত( Sonar Char )- পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার এবং গলাচিপা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরের মাঝ বরাবরে এর অবস্থান। বিপদসঙ্কুল দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা উপেক্ষা করে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে অনেকেই যাচ্ছে সোনার চরে। সাগরের উত্তাল ঢেউ। জেলেদের মাছ ধরা। বিশাল বনাঞ্চল ছাড়াও সেখানে দেখার আছে অনেক কিছু।

বিশেষ করে প্রায় দশ কিলোমিটার লম্বা বিশাল সমুদ্র সৈকতজুড়ে কোটি কোটি লাল কাঁকড়ার বিচরণ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা সদর থেকে সড়কপথে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে পানপট্টি লঞ্চঘাট। সেখান থেকে সামনে এগিয়ে গেলেই আগুনমুখা মোহনা। ট্রলার কিংবা লঞ্চযোগে আগুনমুখা মোহনা থেকে ঘণ্টা তিনেক এগুলেই চোখে পড়বে মায়াবী দ্বীপচর তাপসী। তাপসীর বাঁকে পৌঁছতেই সোনারচরের হাতছানি। তাপসী থেকে ৩০ মিনিটের পথ সামনে এগুলেই সোনারচর। এই দ্বীপের একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অবলোকন করা যায় সূর্যের উদয়-অস্ত।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে সুবিধাজনক লঞ্চ উপায়ে কিংবা বাসে করে পটুয়াখালী। লঞ্চই উত্তম পন্থা। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদর থেকে সড়কপথে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে পানপট্টি লঞ্চঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে আগুনমুখা মোহনা পেরিয়ে দক্ষিণে যাত্রা। ডিগ্রি নদীর বুক চিরে একটু বাঁয়ে যেতেই আরেকটি নদী—বুড়া গৌরাঙ্গ। সামনে গিয়ে বাঁক ঘুরতেই দাঁড়ছিড়া নদী। দু’পাশে সারি সারি ঘন ম্যানগ্রোভ বাগান। নদীর বুকজুড়ে গাংশালিকের অবাধ বিচরণ। সামুদ্রিক হাওয়ার মৃদুমন্দ ছোঁয়া। সব মিলিয়ে এক অন্যরকম ভালোলাগার অনুভূতি। ট্রলার কিংবা লঞ্চযোগে আগুনমুখা মোহনা থেকে ঘণ্টা তিনেক এগুলেই চোখে পড়বে মায়াবী দ্বীপচর তাপসী। তাপসীর বাঁকে পৌঁছাতেই সোনারচরের হাতছানি। তাপসী থেকে ৩০ মিনিটের পথ সামনে এগুলেই সোনারচর।

কোথায় থাকবেনঃ

থাকতে হবে পটুয়াখালী শহরে কিংবা গলাচিপায়। এখানে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে ।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *