সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
নীহাররঞ্জন গুপ্তের বাড়ি( Nihar Ranjan Gupter Bari )বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি বাঙালি ঔপন্যাসিক নীহাররঞ্জন গুপ্তেরপৈতৃক বাড়ি। লোহাগড়া উপজেলা থেকে বাড়িটির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। ২০০৩ সালে বাসভবনটিকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
লোহাগড়া সদর থেকে ৫.৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ইতনা গ্রামে অবস্থিত। ইতনা বাজারের পশ্চিমে ইতনা বালিকা বিদ্যালয়গামী ইটের রাস্তা ধরে আধা কিলোমিটার পূর্বে বেঁকে গেছে। এ রাস্তা ধরে ২০০ মিটার উত্তরে কাঁচা রাস্তার সামনে বাড়িটির অবস্থান।
বাড়িটি প্রায় সত্তর শতক জমির উপর অবস্থিত। এখানে রয়েছে একটি দ্বিতল ভবন, পুকুর ও গাছগাছালি। বাড়ির উত্তরের অংশটি দোতলা এবং দক্ষিণের অংশটি একতলা। বাড়ির দুই দিকে রয়েছে দুটি প্রবেশপথ। ভবনটির নিচ তলায় ৭টি কক্ষ এবং সামনে সরু বারান্দা রয়েছে। যে সকল বারান্দা থেকে অভ্যন্তরের কক্ষে প্রবেশ করবার একাধিক প্রবেশপথ রয়েছে। বারান্দার সামনে রয়েছে নকশাকুত সেগমেন্টাল খিলানযুক্ত স্তম্ভ। উত্তর-পূর্ব কোণে ভবনটির দোতলায় উঠবার একমাত্র সিঁড়ি। উত্তরের দোতলা অংশে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা বারান্দাসহ তিনটি কক্ষ রয়েছে। বারান্দার সামনে রয়েছে সেগমেন্টাল খিলানযুক্ত স্তম্ভ। উভয়তলার প্রায় প্রতিটি কক্ষে রয়েছে একাধিক কুলঙ্গী ও দেয়াল আলমারি। ভবনের দরজা, জানালার কপাটে ফুল-লতাপাতার অলংকরণ, এবং দেয়াল আলমারিতে কাঠের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। নিচ তলার সামনে বারান্দার দেয়ালে বাংলায় ‘আনন্দ কুটির’ নাম উৎকীর্ণ রয়েছে। দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ পথের বামে রয়েছে একটি মন্দির। ব্রিটিশ অমলে নির্মিত বাড়িটির নির্মাণশৈলী সাধারণ। ভবন তৈরীতে ইট, চুন-সুরকি এবং ছাদে কাঠের বর্গার ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ছাদ বরাবর রয়েছে বাহুভাজ নকশাবিশিষ্ট কার্নিস।