বিবরনঃ
নীলাদ্রি( niladri lake sunamganj ) যা বাংলাদেশের কাশ্মীর নামে পরিচিত। নীলাদ্রি এর অবস্থান সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট এ। অনেকেই সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর দেখতে যান কিন্তু এর আশেপাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গা আছে যা যেকোন পর্যটকের মনকে এক মুহূর্তেই ভাল করে দিতে পারে! এমনই একটি যায়গা টেকেরঘাট চুনাপথরের পরিত্যাক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। স্থানীয় লোকজন একে নীলাদ্রি লেক বলে। নিজ চোখে না দেখলে হয় বিশ্বাসই করতে পারবেননা পানির রঙ এতটা নীল আর প্রকৃতির এক মায়াবী রুপ। মাঝের টিলা গুলা আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশ এর শেষ সিমানা। বড় উচু পাহাড়টিতেই সীমানা কাটা তারের বেড়া দেওয়া আছে। এই লেকটি এক সময় চুনা পাথরের কারখানার কাচামাল চুনা পাথরের সাপ্লাই ভান্ডার ছিল যা এখন বিলীন।সীমান্ত এলাকা তাই সাবধানে থাকুন এবং সীমানার খুব কাছাকাছি না যাওয়ার চেষ্টা করুন। আর লেকের পানিতে সাতার না জানলে না নামাই ভালো। নামলেও বেশি দূরে যাবেন না। কারন এখান থেকে খুব পরিমানে চুনা পাথর উঠানো হতো যার ফলে লেক অত্যাধিক গভীর।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে শ্যামলী/মামুন/এনা বাস যায় সুনামগঞ্জ ভাড়া ৫৫০ টাকা। সুনামগঞ্জ থেকে নতুন ব্রীজ পার হয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে যেতে হবে। চাইলে টেকেরঘাট পর্যন্ত সরাসরি মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা নিতে পারে আর মাঝপথে যাদুকাটা নদী পার হতে জনপ্রতি ভাড়া ৫ টাকা আর মোটর সাইকেল এর ভাড়া ২০ টাকা।
এছাড়া আপনি সুনামগঞ্জ থেকে লাউড়ের গড় পযন্ত মোটর সাইকেলে করে যেতে পারেন ভাড়া ২০০ টাকা তারপর যাদুকাটা নদী পাড় হয়ে বারেক টিলা থেকে ১২০ টাকা ভাড়ায় টেকেরঘাট যেতে পারবেন। এখানে উল্লেখিত মোটর সাইকেল এর ভাড়া যেটা উল্লেখ আছে সেটা পুরা বাইকের ভাড়া মানে একটা বাইকে ২ জন যেতে পারবেন। তবে মোটর সাইকেলের ভাড়া আগে দামাদামি করে নিবেন। যতটা সম্ভব কমিয়ে নেওয়াই ভালো
দেখার মত কি কি যায়গা আছেঃ
নীল রঙে রূপায়িত ”নীলাদ্রি”। এ যেন নীলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া । হ্যা নীলাদ্রির কথা বলছি, ভাবছেন এটা আবার কি? এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা কাশ্মীর নয় আমাদের দেশেই ! কি অবাক হচ্ছেন ?ছবি দেখে কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না,একে নীলাদ্রি নামেই চেনে সবাই। এর অবস্থান টেকেরঘাট, সুনামগঞ্জে। এর অপরূপ সৌন্দর্যে ডুব দিতে নিশ্চিন্ত মনে ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জ থেকে।অনেকেই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর দেখতে যান। কিন্তুু এর আশেপাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গা আছে যা যে কোনো পর্যটকের মনকে মুহূর্তেই দোলা দিয়ে যেতে পারে !এমনই একটি জায়গা টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। স্থানীয় লোকজন একে নীলাদ্রি লেক বলেই জানে ।এর নামটা যেমন সুন্দর এর রূপটাও তেমনি মোহনীয় । নিজ চোখে না দেখলে হয় বিশ্বাসই করতে পারবেন না পানির রঙ এতটা নীল আর প্রকৃতির এক মায়াবী রুপ। মাঝের টিলা গুলা আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশ এর শেষ সীমানা। বড় উচু পাহাড়টিতেই সীমানা কাটা তারের বেড়া দেওয়া আছে। এই লেকটি এক সময় চুনা পাথরের কারখানার কাচামাল চুনা পাথরের সাপ্লাই ভান্ডার ছিল যা এখন বিলীন।
কি খাবেনঃ
বারিক্কা টিলাতে খাবারের হোটেল আছে, এছাড়াও বড়ছড়া বাজারে খেতে পারেন অথবা লেকের পাশেই টেকেরঘাট একটা ছোট বাজার আছে একটা মাত্র হোতেল আছে খাবারের। অবশ্যই আগে দাম জেনে খাবেন।
কোথায় থাকবেনঃ
বেশকিছু রেস্ট হাউজ এবং গেস্ট হাউজ আছে বড়ছড়া বাজারে । সেখানে আপনি ২০০-৪০০ টাকায় এক রাত থাকতে পারবেন। বারিক্কা টিলা পাড় হয়েই বড়ছড়া বাজারটা চোখে পড়বে । চাইলে টেকেরঘাট থেকে হেঁটেও আসতে পারবেন বড়ছড়া বাজারে, মেঠো পথ ধরে হাঁটতে ভালোই লাগবে । এছাড়াও লেকের পাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি চুনা পাথরের কারখানা আছে তার গেস্ট হাউজে থাকতে পারবেন যদি খালি থাকে।