শৈল প্রপাত | বান্দরবান

0
414

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

বান্দরবান শহর থেকে বান্দরবান-রুমা সড়কের ৮ কিলোমিটার পয়েন্টে প্রাকৃতিক ঝর্ণা ‘‘শৈলপ্রপাত( shoilo propat bandarban )’’ অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সৃষ্টি। ঝর্ণার হিমশীতল পানি এখানে সর্বদা বহমান। ‘‘শৈলপ্রপাত’’ বান্দরবানের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটের একটি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝর্ণার পাড়ে পিকনিক করার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। শৈলপ্রপাতে গেলেই চোখে পড়বে বম উপজাতীয়দের জীবনধারা। তাদের হাতে বোনা চাদর, মাফলার, বেডশীটসহ বেত ও বাশেঁর তৈরী বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র সহনীয় মূল্যে পাওয়া যায়। বম নারী-পুরুষেরা শৈলপ্রপাতকে ঘিরে এসব জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে। বমদের উৎপাদিত মৌসুমী ফলমূল এখানে সবসময় পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে শৈলপ্রপাতের অবস্থান হওয়ায় এখানে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত থাকে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় শৈলপ্রপাতে নির্মান করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় বিভিন্ন স্থাপনা।

কীভাবে যাবোঃ
ঢাকার সাথে বান্দরবানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকা থেকে বাসে করে সরাসরি বান্দরবানে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেনঃ

বান্দরবানে থাকার জন্যে বেশ কিছু হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। বান্দরবান শহর ও তার আশেপাশেই হোটেল ও রিসোর্ট গুলোর অবস্থান। বান্দরবান থাকার জন্যে যে সকল হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে তার মধ্যে:
হোটেল হিল ভিউ: বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড এর পাশেই।
হোটেল হিলটন: বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড এর কাছেই।
হোটেল প্লাজা: বাস স্ট্যান্ড থেকে ৫ মিনিট হাঁটা দূরত্বে।
রিভার ভিউ: শহরের সাঙ্গু নদীর তীর ঘেষে হোটেলটির অবস্থান।
পর্যটন মোটেল: পাহাড় ও হ্রদের পাশেই অবস্থিত। শহর থেকে ৪ কি:মি: দুরে মেঘলায় অবস্থিত।

কী খাবোঃ
বান্দরবান শহরে খাওয়ার জন্যে রয়েছে বেশি কিছু রেস্তোরা, তার মধ্যে তাজিং ডং ক্যাফে, মেঘদূত ক্যাফে, ফুড প্লেস রেস্টুরেন্ট, রুপসী বাংলা রেস্টুরেন্ট, রী সং সং, কলাপাতা রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি।

কি করবেন:
আপনি এখানে সন্ধ্যাবেলা সূর্যাস্ত এবং রাতেরবেলা চাঁদের মনোরম আলো উপভোগ করতে পারবেন। শীতকালে পুরো সকাল শৈলপ্রপাত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।