সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড জোনে যে কয়েকটা ঝর্নার ট্রেইল রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বড় কমলদহ ট্রেইল( komoldoho waterfalls )। এই ট্রেইলে ছোটবড় মিলিয়ে ৭-৮ টা ঝর্ণা রয়েছে। শুধু তাইনা ক্যাসকেড রয়েছে আনুমানিক ১৪-১৫ টার মতো। দুই পাশে ঘন জঙল, কোথাও কোথাও খাড়া পাহাড় আর ঠিক তার মাঝ দিয়েই অসাধারণ এক ঝিরিপথ। শুনলেই মনের মধ্যে কেমন একটা রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগে। আর ঝর্ণা বেয়ে উপরে ওঠার এডভেঞ্চার তো আছেই। অথবা নিজে গিয়েও ঘুরে আসতে পারেন।
কিভাবে যাবেনঃ
চিটাগাং মেইল ট্রেন কমলাপুর থেকে ১০ঃ৩০ এ ছেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন আগে যেতে। কারণ এটা লোকাল ট্রেন সিট নাও পেতে পারেন। (ভাড়া ৯০ টাকা।) আর নামবেন ফেণী।
ফেনী পোঁছে যাবেন সকাল ৬ টার আগেই। ইচ্ছে করলে ষ্টেশনে অপেক্ষা করতে পারেন কারণ ৬:৪০ এর দিকে ডেমো ট্রেন আছে ওইটা দিয়ে সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন (ভাড়া ২০টাকা)। সীতাকুণ্ড ষ্টেশন থেকে লেগুনা বা মিনি বাসে করে বড়দারোগারহাট আসবেন। সেখানে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিবে। অথবা যদি বাসে যেতে চান তাহলে ফেণী ষ্টেশন থেকে টমটম করে মহিপাল আসবেন এবং সেখান থেকে চিটাগাং এর যেকোন বাসে উঠে যাবেন এবং বলবেন বড়দারোগারহাট নামবেন। ভাড়া ৫০-১০০ টাকা হতে পারে। তবে দামাদামি করে নিবেন।
সতর্কতাঃ
ট্রেইলটি তুলনামূলক সহজ। তাই গাইড ছাড়াই ট্রেকিং করতে পারবেন। যদি গাইড নেন তাহলে অবশ্যই বলে নিবেন যেন সব ঝর্ণা দেখায়। ট্রেইল নোংরা হয় এরকম কিছু করবেন না। অপচনশীল দ্রব্য সাথে করে নিয়ে এসে লোকালয়ের ডাস্টবিনে ফেলবেন। যদি সবগুলো ঝর্না দেখতে চান তাহলে সারাদিন তথা ৭/৮ ঘন্টা হাটার মানসিকতা নিয়ে যাবেন। ট্রেইল দেখা শেষে ট্রেনে করে ঢাকায় না ফিরা ভালো, কারন রাত ১২টায় চট্রগ্রাম মেইল এবং ১২:৫০ টায় তূর্না ফেনী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।