সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
এলাকাবাসীর কাছে আলীর সুরঙ্গ( alir-surong bandarban ) নামে পরিচিত। সরকার পুরাকৃীতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু যে গুহার নাম আলীর নামে তা নয়। যে পাহাড়ে এই গুহার অবস্থান তার নামও আলীর পাহাড়। উপজেলার নাম আলীকদম। ধারণা করা হয়, আলীকদম, আলীর পাহাড় আর আলীর গুহা একই সূত্রে গাঁথা।
সিলেট শহর থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা মালনিছড়া চা বাগান। সেখান থেকে গাইডের সাহায্যে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। গাইড কে বলতে হবে হারং হুরং সুড়ঙ্গ যাব। তেলাহাটির দক্ষিণে হিলুয়াছড়া চা বাগানের ১৪ নং সেকশনের পাশে অবস্থিত হারং হুরং। বড় কোনো গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। বড় কোনো দল নিয়ে গেলে অবশ্যই আগে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। বলে রাখা ভালো ভেতরে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন না।
যা দেখবেনঃ
দুই পাশে কম উঁচু টিলার সুবিন্যস্ত চায়ের বাগান, তার মাঝে সোজা আকাশের দিকে উঠে যাওয়া শেড গাছ মিলে আশ্চর্য এক সবুজের ধারা। সঙ্গে বৃষ্টির ফলে বাগানের ছরাগুলোতে পানির প্রবাহ বেশি আর পানির মোহনীয় শব্দ। সঙ্গে পাবেন বাগানের আঁকাবাঁকা পথ। বাঁশ ঝাড় ফাঁকে সূর্যদেবের খেলা। তেলিহাটি চা বাগানে প্রবেশের পর ছোট বাজার পাবেন সঙ্গে কিছু চায়ের দোকান, চা শ্রমিকদের কিছু ঘর, রাগীব-রাবেয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় আর একটা মসজিদ।
হারং হুরং-এ তিনটি সুড়ঙ্গ। সুড়ঙ্গগুলো বেশ অন্ধকার। একদিকে সবুজ পাহাড়ি অরণ্য, আরেকদিকে সুড়ঙ্গ। ভেতরে বেশ অন্ধকার আর ভয়াল পরিবেশ। মূল সুড়ঙ্গটি বালি ভর্তি হয়ে প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। থেমে থেমে টিলা চুইয়ে আসা পানির টিপ টিপ শব্দ আর বাদুরের ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ নিশ্চিত ভাবে কোনো হরর ছবির কথা মনে করিয়ে দেবে।বড় সুড়ঙ্গটায় দাঁড়ানো যায়, তবে একটু এগুলেই মাটির দেয়াল দিয়ে বন্ধ করা। প্রচণ্ড স্যাঁতস্যাঁতে, দেয়ালে শ্যাওলা। বেশি ভেতরে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড় থাকা খুবই স্বাভাবিক।