নামকরনঃ
এই ঝর্ণার( Tuk O Waterfall Bandarban ) নামকরনের ব্যাপারটা আগে বলে নেই। এই ঝর্ণাটির ডান দিকের অংশের পানির উৎস হল ব্যাঙ ঝিরি। যেহেতু মুরং এলাকায় অবস্থান তাই তাদের ভাষায় ব্যাঙ কে ” তুক” বলে আর ঝিরিকে “অ” বলে। দামতুয়া অর্থ হলো এর খাড়া আকৃতির জন্য এর দেয়াল বেয়ে উপরে ব্যাঙ বা মাছ উঠতে পারেনা তাই তারা এক কথায় তুক অ/ দামতুয়া নামে ডাকে। আর এখানে দুই দিক থেকে পানি পড়ার কারনে ঝর্ণা সহ খোলা স্থানটিতে চাঁদের আলোতে অন্য রকম সৌন্দর্য তৈরি হয় বলে একে স্থানীয় মুরং ভাষায়” লামোনই” ঝর্ণা ( লামো= চাঁদ ও নই= আলো) বলে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বাসে উঠে চকোরিয়া নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে আলিকদম যাবার বাস আছে মাতামুহুরি অথবা জীপে জন প্রতি হিসাবে আলিকদম যেতে পারবেন। তারপরে অটো তে পান বাজার নেমে বাইক ঠিক করবেন ১৭ কিলো যাওয়ার জন্য। সেখান থেকে গাইড নিয়ে ট্র্যাকিং করে যেতে হবে এই ঝর্ণায়।
খরচ, খাওয়া দাওয়া ও হোটেল : বাস ভাড়া ৭০০ র মত, জীপ ভাড়া ৭০ টাকা প্রতি জন, অটো ১০ টাকা। বাইক ৪০০, গাইড ৪০০। এখানে থাকার ও খাওয়ার হোটেল খুব একটা ভাল না। তাই বেশি আশা করে না যাওয়াই ভাল।
সতর্কতাঃ
১। খরচের হিসাব এইরকম রাখতে হলে অবশ্যই বাইক ও গাইড নেওয়ার আগে কথা বলে ঠিক করে নিবেন, কথা বলে নিলে এর চেয়ে কমেও পারা যাবে!
২। অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে যেতে হবে এবং আর্মি ক্যাম্পে দেখাতে হবে। নইলে আপনি যাবার অনুমতি পাবেন না।
৩। নিরাপত্তা জনিত কারনে এখন আর্মি ১৭ কিলোতে কোন পাড়ায় আপনাকে থাকার অনুমতি দিবে না তাই বিকাল ৫ টার মদ্ধে আবার ফিরে এসে কাম্পে জমা দেওয়া পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে যাবেন।
৪। ঝিরি তে জোঁক আছে তাই লবণ নিতে হবে আর ট্র্যাকিং এর মাঝে খাওয়ার জন্য শুকনা খাবার নিয়ে যাবেন।
৫। পরিবেশ নোংরা করবেন না এবং অতিরিক্ত হই হুল্লোড় করা থেকে বিরত থাকুন।
লিখেছেনঃ Iftekhar Hasan Mehedi