আন্ধারমানিক | বান্দরবন

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

আন্ধারমানিক নদী( andharmanik bandarban )বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলা ও বরগুনা জেলায় অবস্থিত অন্যতম নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫০০ মিটার। এটা গঙ্গা-পদ্মা সিস্টেমে অবস্থিত অন্যতম বৃহৎ নদী।আন্ধারমানিক নদীটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে প্রবাহমান টিয়াখালি নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর নদীর জলধারা নীলগঞ্জ ও খাপড়াভাঙ্গা ইউনিয়ন হয়ে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

আন্ধারমানিক নদীটি এখন নাব্যতা সমস্যায় ভুগছে। কলাপাড়ার অধিবাসিগণ নদীটির মরুময়তা নিয়ে বেশ সোচ্চার।পলি পড়ে এবং নতুন চর জেগে ৪০ কিলোমিটার নদীটির প্রায় ২৫ কিলোমিটার স্থায়ীভাবে শুকিয়ে গেছে। ১৯৬০ এর দশকে স্থানীয় সরকার আন্ধারমানিক নদীর উপর অনেক বাঁধ নির্মাণ করে। তখন থেকেই নদীর নাব্যতা শুরু হয়।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করে আন্ধারমানিক নদীর তীরে নতুন সমুদ্রবন্দর স্থাপিত হবে।তখন থেকে নদীটি গুরুত্ব পেতে শুরু করে এবং বিশেষজ্ঞগণের অভিমত নদীটি দক্ষিণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।

কিভাবে যাবোঃ
ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে ঝিটকাগামী ভিলেজ লাইন বাসে ঝিটকা হরিরামপুর মোড়ে নামবেন। ভাড়া নেবে ৯০-১০০ টাকা। ঝিটকা নেমে বাজারের পাশে ঝিটকা মাঠের সামনে ব্রিজের উপর থেকে অটো বা সিএনজিতে আন্ধারমানিক বেড়িবাধ বললেই নিয়ে যাবে। জনপ্রতি ভাড়া ৫০টাকা করে পড়বে। এছাড়া গাবতলি থেকে শুকতারা পরিবহনে সিংগাইর-হরিরামপুর হয়েও যাওয়া যায়, তবে আমার পার্সোনাল সাজেশন ঝিটকা হয়ে যাওয়াটাই বেটার। এতে সর্বোচ্চ ৩ ঘন্টা সময় লাগবে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *