সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
বাকলাই ঝর্ণা( baklai waterfall bandarban )সম্ভবত দেশের সবচেয়ে উঁচু ঝর্ণা। বান্দরবানের পাহাড়ের গভীরে বাকলাই গ্রামে অবস্থিত এই ঝর্ণাটি প্রায় ৩৮০ ফুট উঁচু। এই ঝর্ণাটি দেখতে চাইলে আপনাকে হাতে পাঁচ থেকে সাতদিন রাখতে হবে। তবে আপনি কতটা হাঁটতে পারেন তাঁর উপর নির্ভর করছে এখানে আসতে কতদিন লাগতে পারে। থানচি এবং রুমা থেকে আপনি এই ঝর্ণাটি দেখতে আসতে পারবেন। দশ থেকে বারো বছর পূর্বে একদল সাহসী পর্যটক বান্দরবানের গভীরে ভ্রমণ করতে যায় এবং প্রায় একমাসের অধিক সময় বান্দরবানের পাহাড় খনন করে। এই ভ্রমনের সময় তারা বাকলাই ঝর্ণাটি উপর থেকে আবিষ্কার করে। যেহেতো তারা ঝর্ণাটি সামনে থেকে দেখেনি তাই এটির উচ্চতা সম্পর্কে তারা অবগত ছিল না।
পরবর্তীতে আরেক দল অভিযাত্রী ঝর্ণা কাছে একটি স্থানে যায় এবং ঝর্ণার পানি পরার শব্দ শুনতে পায়। ঝর্ণার পানি পরার প্রচণ্ড শব্দ শুনে তারা শব্দের উৎস আবিষ্কারের জন্য অগ্রসর হয় এবং বাকলাই ঝর্ণাটি আবিষ্কার করে। আর এভাবেই সবার সামনে চলে আসে বাকলাই ঝর্ণা। এমনকি আজও খুব কম পর্যটকই ঝর্ণাটি দেখতে যান।
কিভাবে যাবোঃ
বাকলাই ঝর্ণা থানচিতে অবস্থিত হওয়ায় আপনাকে প্রথমেই বান্দরবানে যেতে হবে। ঢাকা থেকে সড়কপথে বান্দরবানে যেতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগবে।বান্দরবান থেকে বাস অথবা চান্দের গাড়িতে করে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টায় প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থানচিতে পৌছাতে পারবেন। থানচি বাজার থেকে বাকলাই ঝর্ণায় যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে এবং এসময় আপনাকে বেশকিছু পাড়া অতিক্রম করতে হবে যেমনঃ টুটংপাড়া, বোর্ডিং হেডম্যানপাড়া, কাইতনপাড়া ইত্যাদি। ঝর্ণার উপরে উঠতে চাইলে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগবে।
কোথায় থাকবেনঃ
বান্দরবান শহরে অসংখ্য হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্ট হাউজ আছে। যেখানে ৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায় থাকতে পারবেন। কিছু উল্লেখযোগ্য রিসোর্ট ও হোটেল হলো- হলিডে ইন রিসোর্ট, হিলসাইড রিসোর্ট, হোটেল ফোর স্টার, হোটেল থ্রি স্টার, হোটেল রিভার ভিউ ইত্যাদি।