সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
বাংলাদেশের পর্যটনের নতুন এক দিগন্ত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে বান্দরবানের ডিম পাহাড়( dim pahar bandarban )। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট উঁচু বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণ পিপাসুদের মন কাড়ছে। তবে ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথের মাঝখানে থাকা ‘ডিম পাহাড়’ এলাকাটি পর্যটকদের বেশি নজর কাড়ছে।
থানচি থেকে পাহাড়ের পাশ কেটে পথটি উঠে গেছে উঁচু থেকে উঁচুতে। এই রাস্তা থেকে যেদিকে তাকানো যায় দেখা যাবে শুধু সবুজ আর সবুজ। আপনার মনে হবে আপনি যেন মেঘের উপর ভাসছেন। নিচের ঘরবাড়ি দেখলে মনে হবে যেন ছোট ছোট খেলনার ঘরবাড়ি এমনকি শংখ নদীকে ও দেখতে মনে হবে সাপের মত। ডিম পাহাড়ের অবস্থান আলীকদম এবং থানচি থানার ঠিক মাঝখানে। এই পাহাড় দিয়েই দুই থানার সীমানা নির্ধারিত হয়েছে। খুব দুর্গম এই পাহাড়ে যাওয়ার কোনো উপায় এতদিন ছিল না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আলীকদম থানচি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণে সময় লেগেছে ১০ বছর।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে আপনাকে প্রথমে চট্রগ্রাম – কক্সবাজার সড়কের চকরিয়া বাস টার্মিনালে নামতে হবে । ঢাকা থেকে নন এসি বাস ভাড়া নিবে ৭৫০ টাকা। অথবা ট্রেনে চট্রগ্রাম গিয়ে চট্রগ্রাম থেকে বাসে চকরিয়া যেতে পারেন । চট্রগ্রাম থেকে চকরিয়া জন প্রতি বাস ভাড়া ১৭০ টাকা। চকরিয়া বাস টার্মিনাল থেকে মাতামুহুরী পরিবহণ সার্ভিসের বাস প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ পর্যন্ত আলিকদমের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আলিকদম থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.০০ শুরু করে বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত চকরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দুই দিক থেকেই ৪০ মিনিট পর পর গাড়ী ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৬০ টাকা। সময় লাগে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মতো। চকরিয়া থেকে আলীকদম চাঁদের ( জিপ ) গাড়িতে আসতে পারবেন। লোকাল ভাড়া জন প্রতি ৬৫ টাকা। রিজার্ভ ভাড়া এক পথ ১২০০-১৪০০ টাকার মত।
আবার ঢাকা থেকে সড়ক পথে বান্দরবান চলে আসতে পারেন। সেখান থেকে লোকাল বাসে কিংবা চান্দের গাড়িতে করে থানচি বাজার চলে যান। এরপর এখান থেকে চান্দের গাড়ি কিংবা মোটরবাইকে করে ডিম পাহাড়।