সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
সুরমা নদীর উপর স্থাপিত এই লোহার ব্রীজ মূলত সিলেট শহরে ঢোকার প্রবেশদ্বার( kwin bridge sylhet )। অসংখ্য স্মৃতি বিজড়িত এই ক্কীন ব্রিজ আমাদের কলোনিয়াল পিরিয়ডের সাক্ষী হিসাবে এখনও রয়ে গেছে। তৎকালীন আসাম প্রদেশের গর্ভনর মাইকেল ক্বীনের নামে এই ব্রীজের নামকরন করা হয় ক্কীন ব্রিজ। ১৯৩৬ সালে নির্মিত হয় এই ক্কীন ব্রীজ। সে সময় আসামের সাথে সিলেটের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ছিল ট্রেন। তাই সুরমা নদীর উপর দিয়ে একটি রেলওয়ে ব্রীজ করার প্রয়োজনীয়তা একান্ত ভাবে দেখা যায়।
রেলওয়ে বিভাগ ১৯৩৩ সালে সুরমা নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং নির্মাণ শেষ করে ১৯৩৬ সালের প্রথম দিকে। তৎকালীন আসাম সরকারের এক্সিকিউটিভ সদস্য রায় বাহাদুর প্রমোদ চন্দ্র দত্ত এবং শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল হামিদ ব্রীজটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অশেষ অবদান রাখেন। নির্মাণ শেষে ব্রীজটি অনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত করা হয়। এই ব্রীজের পাশেই আছে আলী আমাজাদের বিখ্যাত ঘড়িটি।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বোমার আঘাতে ব্রীজটির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হলেও স্বাধীনতার পর ব্রীজটি কাঠ ও বেইলী পার্টস দিয়ে মেরামত করা হয়। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় ব্রীজের বিধ্বস্ত অংশটি কংক্রীট দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং তৎকালীন নৌ বাহিনীর প্রধান রিয়াল এডমিরাল এম এইচ খান সংস্কারকৃত ব্রীজটি উদ্বোধন করেন; ফলে পুনরায় এটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
কিভাবে যাবেনঃ
সড়ক পথে ঢাকা হতে প্রথমে সিলেট যেতে হবে; অতঃপর সেখান থেকে ব্রীজে যেতে হবে। ঢাকা হতে সড়ক পথে সিলেটের দূরত্ব ২৪১ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে সিলেট রেল স্টেশনের দূরত্ব ৩১৯ কিলোমিটার। সিলেট এসে সেখান থেকে রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সায় অতি সহজেই ক্বীন ব্রীজে আসা যায়।
সিলেটের মূল বাস স্ট্যান্ড কদমতলী বাস টার্মিনাল অথবা রেল স্টেশন থেকে ব্রীজে আসার জন্য ভাড়া হবেঃ
রিক্সায় – ১০/- – ২০/-;
সিএনজিতে – ৩০/- – ৫০/-।