মুপ্পোছড়া ঝর্ণা | রাঙ্গামাটি

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

মুপ্পোছড়া ঝর্ণা রাঙ্গামাটি( moppochora waterfall rangamati ) জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বাঙ্গালকাটা নামক জায়গায় অবস্থিত। মুপ্পোছড়া ঝর্ণাটিতে একটি মাত্র ঝরা থাকলেও প্রস্থের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় ঝর্ণা।রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাটি কাপ্তাই লেকের প্রান্তে অবস্থিত।

সড়ক পথে এই উপজেলার সাথে কোন সংযোগ পথ নেই। কাপ্তাই উপজেলা হতে শুধুমাত্র নৌ-পথে এই উপজেলায় পৌছানো সম্ভব। দূর্গম পার্বত্য এলাকা হিসাবে এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়, আর রয়েছে ছোট বড় প্রচুর ঝর্ণা। বিলাইছড়ি চাকমা শব্দ থেকে উৎপত্তি। চাকমা উপজাতীয় অর্থে বিলাই এর অর্থ বিড়াল আর ছড়ি এর অর্থ পাহাড় হতে প্রাবাহিত ঝর্ণা বা ছড়া। মুপ্পোছড়া ঝর্ণাটি বিলাইছড়ির অন্যতম বৃহত্তম ঝর্ণা। এটির অবস্থান বাঙ্গালকাটা স্থানটিতে বিলাইছড়ি হতে নৌ পথে যাওয়া সম্ভব। আর বাঙ্গালকাটা হতে মুপ্পোছড়া ঝর্ণা শুধুমাত্র পায়ে হেটে যাওয়া সম্ভব।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে শ্যামলী, মডার্ন বা এস আলম বাসে করে কাপ্তাই এসে কাপ্তাই জেটিঘাটস্থ লঞ্চঘাট থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি আসবেন। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে বিলাইছড়ি আসা যায়। কেউ চট্টগ্রাম থেকে বিলাইছড়ি আসলে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রথমত কাপ্তাই জেটিঘাটে আসবেন। এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকেও ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি যাওয়া যায়।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টায় রাঙ্গামাটির তবলছড়ি ঘাট থেকে ইঞ্জিনবোট যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টার মধ্যে বিলাইছড়ি পৌঁছে। ওই বোটটি আবার বিলাইছড়ি থেকে দুপুর ২টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ছাড়ে। তাছাড়া বিলাইছড়ি থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনবোট ছেড়ে ওইটি রাঙ্গামাটি তবলছড়ি ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে দুপুর ২টায় বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে ছাড়ে। বিলাইছড়ি থেকে অন্য একটি ইঞ্জিনবোট সকাল সাড়ে ৮টায় রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে ওইটি রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজার মসজিদ ঘাট থেকে ৩টায় বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে ছাড়ে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *