সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
পাহাড়ের কোলে ভেসে বেড়ানো মেঘ, দিগন্তের নীলাভ( nil diganto bandarban ) সৌন্দর্যের দেশ পাহাড়িকন্যা বান্দরবান। প্রকৃতি তার আপন হস্তে বান্দরবানকে গড়ে তুলেছে , সাজিয়েছে আপন মহিমায়। এখানে পাহাড় সেজে থাকে সবুজের আবরণে। রাজকন্যার মত বর্ণিল সৌন্দর্যের ডানা মেলে দেয় প্রকৃতিতে। চলে মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা। প্রকৃতি যেন সবটুকু উজাড় করে দিয়ে পেখম মেলে বসে সৌন্দর্য বিকাশে। বান্দরবানের সবুজ পাহাড় আর মেঘের মিতালীর আকর্ষণ চিরন্তন। মেঘ আর পাহাড়ের সম্পর্ক এখানে বড্ড ঘনিষ্ঠ। পাহাড়গুলো যেন মেঘের চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজে বর্ণিল। পাহাড়ি রাজকন্যা বান্দরবান বিমোহিত করে সকল পর্যটককে। বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা আর নীলগিরি হয়ত অনেকেই ভ্রমণ করেছেন। এবার দেখে আসুন এখানকার নতুন আকর্ষণ নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্র। মেঘের স্পর্শে নিজেকে সিক্ত করতে ঘুরে আসুন বান্দরবানের নতুন এই অপার্থিব সৌন্দর্যের পর্যটন কেন্দ্র থেকে।
নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান জেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলার জীবন নগর এলাকায় অবস্থিত। নীলগিরি থেকে মাত্র ৬ কিমি গেলেই চোখে পড়বে অপূর্ব সুন্দর এই পাহাড় ভিউ। প্রায় সাড়ে ৩ একর জায়গা নিয়ে পাহাড়চূড়ায় গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রটি। নীলগিরি থেকে নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্রটি মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটি পাহাড়ি সৌন্দর্যের এক রাজ্য।
বড় পাহাড়গুলো একদম কাছে পাবেন আপনি। এই পর্যটন কেন্দ্র থেকে দেশের সর্বোচ্চ পর্বত কেওক্রাডং ও তাজিংডং রেঞ্জ দেখা যায়। দৃষ্টিনন্দন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করলে একে একে ভিউ পয়েন্ট, গোলঘর ও ক্যান্টিন দেখতে পাবেন। এই পর্যটন কেন্দ্র থেকে পুরো থানচিসহ প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের উঁচু পাহাড়-পর্বতগুলো সহজে দেখতে পাবেন। বর্ষায় মেঘের লুকোচুরি খেলা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করে এখানে। হাতের মুঠোয় নেয়া যায় রাশি রাশি মেঘ। মেঘের শীতল স্পর্শে ভরে উঠবে আপনার মন-প্রাণ। সারি সারি সবুজ পাহাড় আর পাহাড়ের উপর মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য আপনাকে বিমুগ্ধ করে। এখানে আকাশের সাথে সারিসারি উঁচুনিচু পাহাড়ের মিতালী, পাশেই রয়েছে আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় জীবন-জীবিকার দৈনন্দিন চিত্র।
কিভাবে যাবেনঃ
বান্দরবান থেকে নীল দিগন্ত যেতে জীপ/চান্দের গাড়ি/মহেন্দ্র/সিএনজি অথবা লোকাল বাস পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয় রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে গেলে। এতে সহজেই আপনি আশেপাশের আরও কিছু জায়গা ভালভাবে ঘুরে দেখতে পারবেন। বান্দরবান জীপ স্টেশন থেকে ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া আসার গাড়ি পাওয়া যায়। চাঁন্দের গাড়ী গুলোতে সাধারণত ১২-১৪ জন যাওয়া যায়, ল্যান্ডক্রুজার টাইপ জীপ গুলোতে বসা যায় ৭ থেকে ৮ জন, আর ছোট জীপ গুলোতে ৪-৫ জন বসা যায়।
নীল দিগন্ত যাবার পথেই নীলগিরি, মিলনছড়ি ভিউ পয়েন্ট, শৈল প্রপাত ঝর্ণা, সাইরু হিল রিসোর্ট ও চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র পার হয়ে যেতে হবে।