সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
সবুজ গাছপালায় ঘেরা হাজারো পাখির কলকাকলি, আকর্ষণীয় ফুলের বাগান, মিনি চিড়িয়াখানা, দৃষ্টিনন্দন পুকুর, বাহারি ফুয়ারা, আর গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্যের সমারোহে গড়ে উঠা নড়াইলের নিরিবিলি পিকনিক স্পট( Niribili Picnic Spot )। আম, কাঁঠাল, নারিকেল, সুপারী, লেবু, মেহগুনি, রবার, পান্থমাধব, ক্রিস্টমাস ট্রি আর ঝাউ গাছে সমৃদ্ধ ওইপেন গাছের বেড়ায় ঘেরা ফুলের বাগানগুলোতে গোলাপ ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস, লিলি, গ্লোবল, রজনীগন্ধা, সুর্য্যমুখি ফুলের সমারোহে মনোরম এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিনোদন প্রিয় মানুষের কলকন্ঠে এ পিকনিট স্পট সবসময় মুখরিত থাকে। সারা বছর নিরিবিলি পিকনিক স্পটে বিনোদন প্রিয় মানুষের কমবেশি আনাগোনা থাকলেও শীত মৌসুমে পর্যাটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত এ পিকনিক স্পটে প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে শতাধিক বাস,
মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ট্যাম্পু, ভ্যান ও বাইসাইকেলে চড়ে অসংখ্য নারী পুরুষ ও শিশু আসছে। এ যেন বিভিন্ন বয়সের মানুষের এক মিলনস্থল।
আজ থেকে আনুমানিক ২৫০ বছর আগে এলাকাটি বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল। সে সময় বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা আর বিচিত্র বন্য প্রাণীর বিচরণে নিরিবিলিতে প্রকৃতির এক বিশাল রাজ্য ছিল। হঠাৎ একদিন এখানে আবির্ভাব হন আধ্যাত্নিক সাধক পুরুষ শাহ্ পজু দেওয়ান। এ সময়ে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দূর দুরান্ত থেকে অসংখ্যা মানুষ এই কামেল পুরুষের বাইয়াত গ্রহণের জন্য আসে। নিরিবিলি পিকনিক স্পটে প্রথম প্রবেশ পথের পাশে পজু শাহের মাজার অবস্থিত। এখানে তিনি একান্ত নিরিবিলিতে ঘুমিয়ে আছেন। কোনদিন তিনি আর জাগবেন না। নিরিবিলিতে আগন্তক দর্শানার্থী পথিকদের তিনি যেন ডেকে বলেন- দাঁড়াও বন্ধু এখানে বহুদিন আগে আমার এমন স্বপ্ন ছিল। আমারই সেই স্বপ্ন! আমারই নিরিবিলির পিকনিক স্পট !
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে সড়কপথে বাসে করে প্রায় ৫ ঘণ্টায় আপনি নড়াইলে পৌছাতে পারবেন। সড়কের অবস্থা খুবই ভাল হওয়ায় যাত্রাপথে আপনার মোটেও কষ্ট হবে না বরং আপনি পুরো যাত্রাপথই উপভোগ করবেন। ঢাকা ছাড়াও খুলনা অথবা রাজশাহী থেকেও আপনি নড়াইলে আসতে পারবেন তবে এই ক্ষেত্রে আপনার সময় বেশি লাগবে।
নড়াইলে পৌঁছে আপনি রিকশা অথবা ভ্যানে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারবেন।