সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাত( songrampunji waterfall ) বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি জলপ্রপাত। সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ১ কি.মি. পশ্চিমে অবস্থিত সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাত। এখানে পাহাড়, জলপ্রপাত এবং নদীর সম্মিলন স্থানটিকে পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয় করে তুলেছে।
জলপ্রপাতটি বাংলাদেশের সিলেটের সীমান্তবর্তি পর্যটন এলাকা জাফলংয়ে অবস্থিত। এর অপর পাশে ভারতের ডাওকি অঞ্চলের পাহাড়সারি।
জাফলং-এর বল্লা, সংগ্রামপুঞ্জি, নকশিয়াপুঞ্জি, লামাপুঞ্জি ও প্রতাপপুর জুড়ে রয়েছে ৫টি খাসিয়াপুঞ্জী। আদমশুমারী অনুযায়ী জাফলং-এ ১,৯৫৩ জন খাসিয়া উপজাতি বাস করেন। জলপ্রপাতটি সংগ্রামপুঞ্জিতে অবস্থিত বলে এটি সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাত নামে সমধিক পরিচিত।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে সিলেট। বাসের চেয়ারকোচে ৪৭০-৫০০ টাকা আর ট্রেনের চেয়ার ৩০০-৩৫০ টাকায় আসতে পারবেন সিলেট শহরে। এখানে রাত কাটিয়ে তবে আপনাকে কোনো একসময় রওনা হতে হবে এই রুটে। সিলেট থেকে লোকাল বাস কিংবা লেগুনায় করে জাফলং বাজারে। মামার বাজারে নামিয়ে দেবে। ওখান থেকে জাফলং জিরো পয়েন্টের দিকে হেঁটে যেতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর দুই ভাগে যেতে পারেন।
এক. জাফলং জিরো পয়েন্ট পার হয়ে সোজা মিনিট বিশেক হাঁটলে সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা দেখতে পাবেন। তবে এদিক দিয়ে গেলে খাসিয়াপল্লীর বাগান দেখতে পারবেন না।
দুই, মামার বাজার থেকে জাফলং জিরো পয়েন্টের দিকে কিছু রাস্তা হেঁটে মা রেস্টুরেন্টের সামনে দিয়ে বাঁয়ে মোড় নিতে হবে। ওখান থেকে নৌকা নিয়ে সংগ্রামপুঞ্জি বাজার। জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া নেবে। বাজারে কাউকে খাসিয়াপল্লী বাগান বললেই দেখিয়ে দেবে। বাগানের ভেতরের রাস্তার ১০ মিনিটের মতো হাঁটলেই সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা।
জাফলংয়ের পিয়াইন নদী পার হতে ভাড়া নৌকার সাহায্য নিতে হবে। নৌকায় পার হতে আনুমানিক ২০০-২৫০ টাকা নেবে।
কখন যাওয়া উচিতঃ
জলপ্রপাতে বর্ষাকালে বেশি পানি থাকে। তাই বর্ষাকাল ঝর্ণাতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়।