সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
মমিন মসজিদ( Momin Mosque )বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার একটি স্থাপত্য। এটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি শিল্পসমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মুসলিম স্থাপত্যকলা। সম্পূর্ণ কাঠের নির্মিত কারুকার্য ও ক্যালিগ্রাফি খচিত এই মসজিদটিতে কোনো ধরনের লোহা বা তারকাঁটা ব্যবহার করা হয়নি এবং এসব কারুকাজে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হয়।
২১ জন কাঠ-খোদাই মিস্ত্রি ১৯১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করে শাল, সেগুন ও লোহাকাঠ ব্যবহার করে লোহাবিহীন এই অপূর্ব শিল্পকর্মটির কাজ ১৯২০ সালে শেষ করেন। এটি ১৬ হাত দৈর্ঘ্য, ১২ হাত প্রস্থ ও ১৫ হাত উচ্চতা বিশিষ্ট। এর চারপাশের বেড়া তিনটি অংশে বিভক্তঃ উপরে ও নিচে কাঠের কারুকাজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দুটি পার্ট দিয়ে ডাবল বেড়া। ভিতরে একরকম ও বাইরে অন্যরকম। ভিতরের কারুকাজ করা বেড়াটি খুলে আলাদা করা যায়। ইট দিয়ে নির্মিত অনুচ্চ নিরেট মঞ্চের ওপর আয়তাকার পরিকল্পনায় কাঠের জোড়াবদ্ধ বেড়া ও খুঁটি সমর্থিত টিনের আটচালা ছাউনি বসিয়ে স্বল্প পরিসরে মমিন মসজিদ নির্মিত হয়েছে। কাঠের বেড়ার মধ্যে আকর্ষণীয় কারুকাজ বিধৃত হয়েছে। সে কারুকাজের মটিফে ঠাঁই পেয়েছে জ্যামিতিক বিন্যাসে ক্ষুদ্রাকার ফোকর, বরফি, ফুলদানি, স্টাইলিশ কলিসহ বিরুদের ডাঁটা, নাস্তালিক ক্যালিগ্রাফি প্রভৃতি।
২০০৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটির সংস্কার করে।
বর্তমানে এটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি মুসলিম স্থাপত্যকলা। সারা বাংলাদেশের সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত মসজিদের মধ্যে যেগুলো বেশি গুরুত্ব বহন করে সেই সব মসজিদের ছবি জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে; মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদের কয়েকটি আলোকচিত্রও জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
কিভাবে যাবেনঃ
মঠবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হতে T&T রোড হয়ে 2 k.m. দূরে। রিক্সা যোগে ২০/- ভাড়া।