সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
সাঙ্গু পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি নদী( sangu river bandarban )। স্থানীয়ভাবে এটি শঙ্খ নদী নামে পরিচিত। কর্ণফুলীর পর এটি চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। বাংলাদেশের ভেতরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি সাঙ্গু তার অন্যতম। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবানের মদক পাহাড়ে এ নদীর জন্ম। পর্বতশীর্ষ থেকে নেমে এসে বান্দরবান শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে সাঙ্গু।
উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই নদীর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার। এ জেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ নদী একটি অন্যতম মাধ্যম। বান্দরবান শহরের পূর্বে পাশে পাহাড়ি ঢালে বয়ে চলা সাঙ্গু দেখতে অপরুপ। পাহাড়ের কোল বেয়ে এঁকেবেঁকে চলছে কোথাও প্রমত্ত আবার কোথাওবা শান্ত এই নদী। প্রকৃতির এই অপরুপ দৃশ্য উপভোগ করতে আপনিও বেরিয়ে পড়তে পারেন।
কিভাবে যাবোঃ
দেশের যেকোনো জেলা থেকেই বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। ঢাকার কলাবাগান, সায়দাবাদ এবং ফকিরাপুল থেকে শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, ডলফিন ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর যেকোনো একটি বাসে চড়ে সহজেই বান্দরবানের আসতে পারেন। এসব নন-এসি ও এসি বাসের জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৫৫০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবান যেতে সময় লাগে ৮-১০ ঘণ্টা।
এছাড়া মহানগর, তূর্ণা কিংবা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে প্রথমে চট্টগ্রামে তারপর সোজা বান্দরবানে চলে যেতে পারেন। চট্টগ্রাম শহরের বদ্দারহাট থেকেও পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের নন-এসি বাস ৩০ মিনিট পরপর বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বান্দরবান শহর থেকে থানচির উদ্দেশে প্রথম চান্দের গাড়িটি সকাল নয়টায় ছেড়ে যায়। ভাড়া একশ পঁয়তাল্লিশ টাকা। সময় লাগে প্রায় চারঘণ্টা। পাহাড় ঘেরা থানচি বাজার একটু নিচু জায়গা। বাজারের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে সাঙ্গু নদী।
কী খাবোঃ
এখানে হোটেল গুলোতে খাবারের সু-ব্যবস্থা আছে।
কোথায় থাকবোঃ
বান্দরবানে থাকার জন্য হোটেল ও গেস্টহাউজগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১। হিলসাইড রিসোর্ট
ঠিকানাঃ চিম্বুক সড়ক, বান্দরবান
যোগাযোগঃ ০১৭৩০০৪৫০৮৩, ০২-৯৮৮৬৯৮৩
২। হোটেল গ্রিনহিল
ঠিকানাঃ প্রধান সড়ক, বান্দরবান-৪৬০০
যোগাযোগঃ +৮৮০১৮৫৬৬৯৯৯১০, +৮৮০১৮৫৬৬৯৯৯১১
৩। হোটেল পূরবী
ঠিকানাঃ ভিআইপি রোড, বান্দরবান সদর, বান্দরবান
যোগাযোগঃ ০১৮২৩-৩৪৬৩৮৩, ০৩৬১-৬২৫৩১
৪। হোটেল পাহাড়িকা
ঠিকানাঃ প্রধান সড়ক, বান্দরবান
যোগাযোগঃ ০৩৬১-৬২১৫৫।