সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
পাহাড়ি কন্যা রাঙামাটির সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থান( rainya tugun eco resort )। অবকাশ যাপনের স্থানটি যদি হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, তবে ভালো না লেগে উপায় আছে! শহরের কালো ধোঁয়া থেকে দূরে চলে গিয়ে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিতে তাই ঘুরে আসতে পারেন রাঙামাটি। আর এখানেই রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট। যেখানে ভোরের আর্দ্রতায় ভেজা ঘাসের বনে চলে ফড়িংসহ নানা কীট পতঙ্গের মিলন মেলা। আবার গোধূলি সন্ধ্যায় রবির রক্তিম আভা চিকচিক করে যখন নীল পাহাড় ভেদ করে আঁধারের সাথে আলিঙ্গনে নেমে পড়ে তখন নাম না জানা হাজারো পাখির নীড়ে ফেরার দৃশ্য রিসোর্টটিকে করে তোলে আরো মোহনীয়। যদি নিরালায় বসে একমনে নির্জনতা উপভোগ করতে চান তবে এই রাইন্যা ইকো রিসোর্ট আপনাকে দেবে সেই পরিবেশ।
রাঙামাটি-কাপ্তাই নতুন সড়কের পাশে কাপ্তাই হ্রদের তীরে গড়ে উঠেছে এই রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট। রাঙামাটি শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার এবং কাপ্তাই বাঁধ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কামিলাছড়ি এলাকায় গড়ে উঠা এই রিসোর্টে হ্রদ ও পাহাড়ের সবুজ বনানীর অপূর্ব নিসর্গ উপভোগ করতে পারবেন। ইকো-ট্যুরিজমের ধারণা নিয়ে গড়ে উঠা বেসরকারি এই রিসোর্টটি ২৫ একর জায়গা জুড়ে স্থাপিত যা সামাজিক ব্যবসায় ধারণার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত গ্রামের সান্নিধ্যসহ অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতির মাঝে গড়ে উঠা এই রিসোর্ট আপনাকে প্রকৃতির সাথে সখ্যতা করিয়ে দেবে।
জীব ও জীব বৈচিত্র্যকে ভালবেসে এবং তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতেই, সাথে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানোর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এই অনন্য সুন্দর ইকো রিসোর্ট। ছোট বড় বেশ কিছু টিলা নিয়ে গড়ে উঠেছে এটি। টিলাগুলোর নামও চমৎকার। ফুরোমন, ফালিট্যাংগা চুগ, কেওক্রাডং, চিম্বুক। পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিচিত উঁচু পাহাড়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে এইসব টিলার। এক এক টিলাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা। কোনটার তীর ঘেঁষে রয়েছে বোট ঘাট, কোনটা নির্ধারিত হয়ে আছে হেলি প্যাডের জন্য আর কোনটার চূড়ায় বসবে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা। আর প্রত্যেক টিলা জুড়ে রয়েছে গাছগাছালির রাজত্ব। প্রায় ২০০ প্রজাতির বনজ, ফলজ, ঔষধি এবং ফুলের গাছপালা রয়েছে এই রিসোর্ট জুড়ে।